সিলেটে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধে সংম্লিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের উপপরিচালকসহ বিবাদীদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রতি ছয় মাস পর পর নির্দেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৫ জুলাই) রুলসহ এ আদেশ দেন।
সিলেটে টিলা কাটা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে চলতি মাসে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান মিলন। রিটে রুলসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। পরে রিটকারী আইনজীবী মিলন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিলেটে পাহাড়-টিলা কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া দেশের পাহাড়-টিলা রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের চার জেলায় বর্তমানে ১ হাজার ৮৭৫টি টিলা আছে। এসব টিলার আয়তন ৪ হাজার ৮১১ একর।এর বাইরে আড়াই দশকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ টিলা কেটে ফেলা হয়েছে।