বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় এখনো ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে গত ১১ দিন পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। গত ৪ জুলাই নদীতে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাঁচটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
পানিবন্দি হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- চর আগ বোহাইল, পৌতিবাড়ি, চর মাঝিরা, চর মাজবাড়ি, নয়াপাড়া, চকরথিনাথ, বয়রাকান্দি, ঘুঘুমারি, ঘুঘুমারি দক্ষিণপাড়া, কেষ্টিয়ার চর, পাকুরিয়ার চর, বেনীপুর, চর দীঘাপাড়া, ময়ূরের চর, গজারিয়া, কাশিরপাড়া, কুড়িপাড়া, চরবাটিয়া, চর চালুয়াবাড়ি, পার দেবডাঙ্গা, দক্ষিণ হাটবাড়ি, নিজতিতপরল, করমজাপাড়া, শিমুলতাইড়, ধলির কান্দি, ভাঙ্গড়গাছা, বহুলা ডাঙ্গা, বিরামের পাঁচগাছি, আউচারপাড়া, উল্লাডাঙ্গা, চর দলিকা, মানিকদাইড়, বেড়া পাঁচবাড়িয়া, ধারাবর্ষা, চর ডাকাত মারা, চর কর্ণিবাড়ি, দক্ষিণ শংকরপুর, শংকরপুর, পাকেরদহ এবং উত্তর টেংরাকুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- উত্তর টেংরাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়, আওচারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বোহাইল উচ্চ বিদ্যালয়, জামথল উচ্চ বিদ্যালয় এবং শোনপচা উচ্চ বিদ্যালয়।
এছাড়া গত কয়েক দিন আগে চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী ভাঙনের শিকার হয়। ফলে বিদ্যালয়টি নিলাম দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম এখন অন্যত্র চালানো হচ্ছে।
এদিকে কয়েক দিন ধরে পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার বিকাল ৩টার দিকে যমুনা নদীর মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, পানিবন্দি হওয়ার কারণে উপজেলার ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি কমতে শুরু করেছে; শিগগিরই পাঠদান শুরু করা হবে। এর আগে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।