পর্তুগালে আগামী ১ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব যুব দিবস। আন্তর্জাতিক এ আয়োজনকে ঘিরে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেনজেন দেশ হিসেবেও উন্মুক্ত বর্ডারের নিয়ন্ত্রণ করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
বিপুলসংখ্যক জনসমাগম ঘিরে এবং ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিসের আগমন উপলক্ষ্যে দেশটির সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করেছে।
পর্তুগাল একটি সীমানামুক্ত সেনজেন দেশ। ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে পর্তুগালে প্রবেশ করতে কোনো ধরনের বর্ডার বা ইমিগ্রেশন পুলিশের চেকিং নেই। তবে এই আয়োজনের নিরাপত্তাকে ঘিরে এয়ারপোর্ট, স্থল সীমানা এবং নৌ বন্দরে জনগণের অবাধ চলাচলের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ভ্রমণ অনুমতি না থাকলে পর্তুগালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত ২২ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১১৫ জন ব্যক্তিকে পর্তুগালে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। একই সময়ে সড়কপথে ৩৯ হাজার ২৮০ জন, আকাশপথে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৩ জন এবং নদীপথে ৩৮ হাজার ১৮১ জন ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পুরো জুলাই মাসজুড়েই মানবপাচার, মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পর্তুগালের স্থানীয় প্রশাসন মন্ত্রী জোযে লুইস কার্নেইরো জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে দেশটির তিন হাজারেরও বেশি ন্যাশনাল গার্ড (জিএনআর) দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া এ সময়ে নির্ধারিত অঞ্চলের সাধারণ নাগরিকদেরও প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ জরুরি স্বাস্থ্য সেবা কর্মীসহ প্রায় ১৬ হাজার সক্রিয় নিরাপত্তা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জাতীয় জরুরি সেবার পাশাপাশি খোলা হয়েছে আরও একটি জরুরি সেবা নম্বর।