চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস নিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। রোববার (৩০ জুলাই) সকাল সোয়া আটটার দিকে তিনি ভোট দেন। ভোট দেওয়ার পর মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আগে এই আসনে নৌকার ভোটের যে পরিসংখ্যান আছে, তাতে মনে করি নৌকা এবার বিজয়ী হবে।
মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোর মত এ নির্বাচনেও আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ভোটারদের লম্বা লাইন দেখে বোঝা যাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো।
নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে তার দলের নেতা-কর্মীরা অতীতের মত এ নির্বাচনেও কাজ করেছে।
নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা কাজ করছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনোই শঙ্কা প্রকাশ করি নাই, আমি মনে করছি- শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে।
এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও পাঁচলাইশের একাংশ) উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ আসনের ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা মাধ্যমে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রের পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন কমিশন থেকে নিবিড় মনিটরিং করা হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকেও মনিটরিং হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। আশা করছি, শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাইক চলাচলসহ অন্য যন্ত্রচালিত যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশের তিন জন, আনসারের দুজন সদস্য থাকবে। এছাড়া অস্ত্র ছাড়া লাঠি হাতে আনসারের থাকবে ১০ জন সদস্য এবং একজন গ্রাম পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের একজন ও গ্রাম পুলিশের দুজন অতিরিক্ত সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। আবার পুলিশের আটটি মোবাইল টিম ও চারটি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র্যাবের চার টিম ও চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে ভোটের এলাকায়। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। তারা হলেন নৌকা প্রতীকে মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সামসুল আলম, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশিদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রকেট প্রতীকে মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বেলুন প্রতীকে মো. আরমান আলী। তবে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে জাতীয় পার্টির সামসুল আলমের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়।