চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের নেতৃত্ব নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে মুখ খুলেছেন বর্তমান সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু। ছয় নেত্রীর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মহিলা দলে জমা দেওয়া চিঠিকে তিনি ‘ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক’ বলে দাবি করেছেন।
রিকু বলেন, ‘আমি রাজপথে আছি, ছিলাম, থাকব। দলের আন্দোলনে আমরা সক্রিয় থেকেছি। আমাদের নিষ্ক্রিয় বলার মানেই হচ্ছে সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা।’
❝ কে কখন মাঠে ছিল, ইতিহাস বলে দেবে ❞
২০২১ সালের ২১ নভেম্বর গঠিত বর্তমান কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকা রিকু বলেন,“আমরা শুধু ফেসবুক পোস্ট করিনি, রাজপথে থেকেছি। জেলও খেটেছি। আমার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌসি কলিও ছিলেন আন্দোলন সংগ্রামে ।”এই ত্যাগের মূল্য যদি ষড়যন্ত্র হয়, তাহলেপ্রশ্ন তোলা দরকার—আসলে নিষ্ক্রিয় কে?”
চিঠির নেপথ্যে পুরনো ক্ষোভ?
অভিযোগকারী ছয় নেত্রীর মধ্যে কয়েকজন অতীতে বহিষ্কৃতও ছিলেন। বিষয়টি উল্লেখ করে রিকু বলেন,“২০১৯ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সাহিদা সেফু, আফরোজা জলিসহ কয়েকজন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছিলেন। পরে তাদের বহিষ্কার করা হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই আজকের এই অপপ্রচার।”
‘কমিটি বৈধ, আমরাই সক্রিয়’
নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে রিকু বলেন,“কমিটির মেয়াদ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তারা কি জানেন, মেয়াদ নির্ধারণ করে কেন্দ্র? তারা যদি বৈধ হতেন, কেন মাঠে আমাদের কর্মসূচিতে কখনোই ছিলেন না?” তিনি প্রশ্ন রাখেন, “আমি যদি অকার্যকর হই, তাহলে সাধারণ সম্পাদক বা সাংগঠনিক সম্পাদকও কি অকার্যকর?”
আলোচনার দরজা খোলা
অবশ্য একচেটিয়াভাবে নিজেকে সঠিক বলে দাবি না করে আলোচনার জায়গাও রাখছেন রিকু। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইলে আমরা বসতে পারি। বিরোধ থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটি দল ভাঙার অস্ত্র হওয়া উচিত নয়।”
সুসংবাদ বিশ্লেষণ:
চট্টগ্রাম দক্ষিণ মহিলা দলে নেতৃত্ব নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও মাঠে যারা সক্রিয়, তাদের অভিজ্ঞতা ও ত্যাগ অস্বীকার করা যায় না। নেতৃত্ব বদলের ভাষা যদি ষড়যন্ত্রে রূপ নেয়, তাহলে সংগঠনের ক্ষতি অনিবার্য।
সংগঠনের প্রশ্নে গণতন্ত্র জরুরি, কিন্তু মাঠের বাস্তবতা না দেখে সিদ্ধান্ত হলে তা সংগঠনকেই দুর্বল করবে—বলছেন বিশ্লেষকরা।