26 C
Chittagong
শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদলিডদোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন ১২ নভেম্বর

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন ১২ নভেম্বর

সুসংবাদ ডেস্ক:

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন করা হবে। ওইদিন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত থেকে এই পথে ট্রেন চলাচলের সূচনা করবেন। শনিবার (৭ অক্টোবর) রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানান।

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ১২ নভেম্বর সময় দিয়েছেন।

কক্সবাজারের রেললাইন গোটা বাংলাদেশের সঙ্গেই যুক্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ চলছে। এই সেতু দিয়েই ইঞ্জিন বগি ওই পার নেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের আগেই সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে।

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের অদূরে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১০ সালে হাতে নেয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০.৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ এখনো শুরু করা যায়নি।

প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু। ১৪৯টি বক্স কালভার্ট ও ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। লেভেলক্রসিং রয়েছে ৯৬টি।

চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) প্রকল্পের নির্মাণকাজ করছে। এছাড়া বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কম্পানি ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

প্রকল্পটি ২০১০ সালে অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর সব জটিলতা কাটিয়ে ২০১৮ সালে প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করে। ফাস্ট ট্র্যাক এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিচ্ছে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বাকি চার হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো রেলপথের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। আর অক্টোবরের মাঝামাঝিতে যাত্রী পরিবহন। কিন্তু বন্যার কবলে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত করার পাশাপাশি পুরো কাজ করতে সময় লেগে যায়। আর আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।