বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র কায়েম করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মাঠে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে, ভোট চুরি করেছে, ভুয়া ভোটার তালিকা করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এই বিএনপি।
তারা এখন বলে এটা নাকি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র। ফ্যাসিবাদ কাকে বলে তা বিএনপির শাসন আমলকে ফুটিয়ে তোলে, ফ্যাসিবাদের জ্বলন্ত উদাহরণ বিএনপি। তারা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করেছে আর শেখ হাসিনা গণতন্ত্র কায়েম করেছেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে গণতন্ত্র কায়েম করেছেন। গণতন্ত্রকে যারা ধ্বংস করেছে তারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।
দুর্নীতিকে যারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে তারা এখন দুর্নীতির কথা বলে।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কিন্তু বিএনপি সেটায় বাধা দিচ্ছ। অপরাধী কারা আমরা নাকি যারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় না তারা? আমেরিকার নজরে কী এসব আসে না! ভিসানীতি বিএনপির বিরুদ্ধে তাহলে কেন দেওয়া হয় না? যারা আগুন সন্ত্রাসের কাজ করে, গ্রেনেড হামলা করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কেন নয়?
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে নিয়ে বলেন, ফখরুলের চোখের পানিতে বুক ভেসে যায়।
পানির মধ্যে আবার চোখের পানি চলে যায়, কি যে কান্না। মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করে। গরুর হাটের গোলাপবাগে তার আন্দোলনের বারোটা বেজেছে।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারেক রহমানকে বলেন সাহস থাকলে দেশে আসতে, রাজপথে ফয়সালা হোক। তিনি নিজে আইন ভঙ্গ করে এখন ফরমায়েশ দিচ্ছেন।
তার বিরুদ্ধে আদালতের রায় আছে, তার কোনো বক্তব্য, স্টেটমেন্ট অনলাইনে প্রচার যাবে না। কিন্তু প্রতিদিনই অনলাইনে তিনি বিএনপিকে আন্দোলনের ফরমায়েশ দিয়ে যাচ্ছেন। আমেরিকা কী এই গণতন্ত্রের লেবাসধারী অপরাধীকে দেখেন না?
জনগণকে উদেশ্য করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে। আসুন বাংলাদেশের জনগণ রক্ত দিয়ে যে দেশ স্বাধীন করেছে সে দেশে স্বাধীনতারবিরোধী শক্তিদের পরাজিত করে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উড্ডয়ন করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন। সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি হোসাইন সাদ্দাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।