বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে সরকার তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশি । তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে বর্তমানে প্রচলিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনটি সংশোধন ও সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের বিচারিক ক্ষমতা বাড়ানো গেলে ভালো হয়। সিন্ডিকেট সবসময় সুযোগ খোঁজে বাজারে কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধির জন্য, এই সব অবৈধ কারবারিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে আমরাও সক্রিয়।
শুক্রবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক ছায়া সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, সিন্ডিকেট, তাবৈধ মজুদদার, কালোবাজারীদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিদপ্তর তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও পেয়াজের মতো পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারসাজির বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ভোজ্যতেল, চিনি ও গমের মতো অনেক পণ্য ৯০ ভাগই আমদানি নির্ভর।
যা মাত্র কয়েকটি কম্পানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ পণ্যগুলো নিয়ে যাতে কোনো বাজার কারসাজি না ঘটে তার জন্য আমরা সর্বদা সজাগ থাকি। তবে কোনো কম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াও সমাধান নয়। তাতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ব্যহত হয়ে ভোক্তাদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
ব্যবসায়ীদের সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের জাগরণেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে বিশেষ সহায়ক বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ জানান, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ব্রয়লার মুরগিসহ বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ৫ থেকে ৬টি কর্পোরেট কম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। মূল্যবৃদ্ধির কারসাজির সাথে যে সকল বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট কম্পানিগুলি জড়িত সেগুলিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে তিনি দশ দফা দাবি পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ছায়া সংসদ শেষে টিপু মুনশি, এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও হাসান আহমেদ চৌধুরীর কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করেন বিজয়ী দলের প্রতিযোগীরা।