নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির অভ্যুত্থানপন্থী সামরিক নেতারা। যেকোনো ধরনের সামরিক অভিযান ঠেকাতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে নাইজারের জান্তা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে অবরুদ্ধ করে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ।
বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি আফ্রিকা অঞ্চলের ১৫ দেশের জোট ইকোয়াস। রবিবারের মধ্যে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতায় পুনর্স্থাপন করতে হবে। পুনর্স্থাপন না করলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হবে বলে জোটটি হুমকি দেয়। ফলে সামরিক অভিযান ঠেকাতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে নাইজারের জান্তা।
রবিবার হাজার হাজার অভ্যুত্থান সমর্থক নাইজারের রাজধানী নিয়ামির একটি স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল, তখনই এই ঘোষণা আসে। অভ্যুত্থানকারী জেনারেলদের পর্ষদ দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য সেফগার্ড অফ দ্য হোমল্যান্ডের (সিএনএসপি)-এর মুখপাত্র আমাদৌ আবদ্রামানে, আকাশপথ বন্ধের জন্য ইকোয়াস জোট এর সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি কথা উল্লেখ করেছেন।
জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে আবদ্রামানে বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রস্তুতির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, নাইজার সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি মুখে। তাই নাইজারের আকাশসীমা রবিবার থেকে বন্ধ থাকছে… পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।’
তিনি আরো যোগ করে বলছেন, ‘নাইজারের সশস্ত্র বাহিনী এবং আমাদের সমস্ত প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী, আমাদের জনগণের অবিচ্ছিন্ন সমর্থন দ্বারা সমর্থিত। আমাদের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করতে প্রস্তুত তারা।’
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ দেখাচ্ছে, বর্তমানে নাইজারের আকাশে কোনো বিমান নেই। এদিকে ইকোয়াসের সামরিক অভিযানে মোয়াকাবিলায় রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের কাছে সহায়তা চেয়েছে নাইজারের জান্তা। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, নাইজারে অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা জেনারেল সলিফু মুডি প্রতিবেশী দেশ মালিতে একটি সফরে যান।
সেখানে তিনি ওয়াগনারের একজনের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেছিলেন।
সূত্র: আল জাজিরা