26.5 C
Chittagong
বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদঅর্থ-বাণিজ্যবেসরকারি উদ্যোগে এলএনজি আমদানির অনুমোদন

বেসরকারি উদ্যোগে এলএনজি আমদানির অনুমোদন

সুসংবাদ ডেস্ক:

শিল্প-কারখানা ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সুযোগ দেওয়া হলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। উদ্যোক্তারা যাতে সরাসরি নিজেরাই এলএনজি আমদানি করতে পারেন ও প্রয়োজনে অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এই নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। এখন থেকে এলএনজি আমদানি, মজুদ ও বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। নিজস্ব পাইপলাইন অথবা নির্ধারিত মাসুল দিয়ে পেট্রোবাংলার অব্যবহৃত পাইপলাইনও ব্যবহার করতে পারবে।

আর ক্রেতা ও বিক্রেতা আলোচনা করে এলএনজির দাম নির্ধারণ করতে পারবেন।

গত ১ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ প্রকাশিত বেসরকারি পর্যায়ে এলএনজি আমদানি স্থাপনা, আমদানি ও সরবরাহের সংশোধিত নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ২৮০০-২৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

এর মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে এলএনজি থেকে। বাকিটুকু দেশীয় কূপ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি থাকছে প্রায় ১১০০ থেকে ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

জ্বালানিসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির কারণে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে পার্থক্য ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে।

এই প্রেক্ষাপটে, দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প অন্যতম উৎস হিসেবে এলএনজিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে সরকার জিটুজি ভিত্তিতে এলএনজি আমদানিপূর্বক রি-গ্যাসিফাইড এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকেও উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এলএনজি স্থাপনা নির্মাণ, আমদানি, মজুদ ও সরবরাহসহ সব কর্মকাণ্ডে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে নিম্নরূপ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।

নীতিমালায় বলা হয়, আমদানিকারক কম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি বা ভারী শিল্প খাতে প্রকল্প নির্মাণ কিংবা পরিচালনার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অথবা অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনসোর্টিয়াম করলে সেই কম্পানির এলএনজি খাতের প্রকল্প নির্মাণ বা পরিচালনার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজেরা পাইপলাইন, জেটি, স্টোরেজ ট্যাংক ও এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করতে পারবে। নির্ধারিত মাসুল দিয়ে পেট্রোবাংলার অব্যবহৃত পাইপলাইনও ব্যবহার করতে পারবে। এ জন্য ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি গ্রহণ করতে হবে। লাগবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সনদও।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম  বলেন, ‘বেসরকারি উদ্যোক্তারা এলএনজি আমদানি করে সরবরাহের বিষয়টিতে বড় ধরনের অপারেশনাল জটিলতা রয়েছে। তাই আমার মনে হয় না উদ্যোক্তারা এতে উৎসাহিত হবেন।’  ক্রেডিট: কালের কন্ঠ