রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয় দেশই বলছে আলোচনায় বসার আগে তাদের কিছু শর্ত রয়েছে। অন্যদিকে সংকট কাটিয়ে ইউক্রেনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহান্তে শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে চায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বেশ কয়েকটি বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
খবরে আরো বলা হয়, সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে অনুষ্ঠিত হবে এই শান্তি আলোচনা।
বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ, জাপান ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। তবে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় কোন দেশের কতজন প্রতিনিধি অংশ নেবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এই আলোচনায় রাশিয়া অংশ নেবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া না গেলেও, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তিনি শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করছেন না। অর্থাৎ রাশিয়ার পক্ষ থেকেও ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে।
রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গে আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পুতিন আরো বলেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাই কোনো যুদ্ধবিরতি হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবেই শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। যদিও দেশটি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে দুই দেশের সঙ্গেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করে একদিকে যেমন জাতিসংঘে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল, অন্যদিকে বিশ্ববাজারে তেল রপ্তানির নীতির বিষয়েও রাশিয়ার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখেছে দেশটি।
ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা
ইউক্রেনের দাবি, ক্রিমিয়ার একটি ল্যান্ড ব্রিজে হামলা চালিয়েছে সেনারা। তা ছাড়া দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুতের দিকেও ইউক্রেনের সেনারা অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে দাবি দেশটির।
এদিকে রাশিয়া বলছে, ক্রিমিয়ায় হামলা করতে আসা ইউক্রেনের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশটির এয়ার ডিফেন্স ইউক্রেনের ১৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
তা ছাড়া ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ারের মাধ্যমে আরো ৯টি ড্রোনকে লক্ষ্যস্থলে হামলা করার আগেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
ক্রেডিট: ডয়চে ভেলে