জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন স্থানে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘বড় বড় দলগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে সমাবেশের জন্য রাস্তা বর্জন করার। সড়কে কেউ সমাবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংসতা যেন না হয়। এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে অনুমতি দেওয়ার পরেও দুই দলের জন্য একই ধরনের নির্দেশনা থাকবে এবং একই শর্ত থাকবে।’ দুই দলই একদিনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দলের নেতারা বলতে পারবেন। আমি এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখার কাজ এখন আমার।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তারা যেন ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হয়, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে, জানমালের ক্ষতি করে, ভাংচুর না করে, শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট না করে। এসব কাজ করলে নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচার রোধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের ডিমান্ড কমানোর ওপরে জোর দিয়েছি। এখন সমাজর ওপরে জোর দিতে হবে। ইয়াংদের না বাঁচাতে পারলে সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। এই তথ্যটা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। মাদক আমরা তৈরি করি না। পাশের দেশ বা বিভিন্নভাবে প্রবেশ করে। মিয়ানমার থেকে আইস ও ইয়াবা প্রবেশ করে। ভারত থেকে ফেন্সিডিল আসছে। তা বন্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করছি। অনেকটা কমেছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও কাজ শুরু করেছি কিন্তু তারা সহযোগিতা সেভাবে করছে না। এজন্য কোস্টগার্ডকে গতিশিল করছি। জলজান বাড়াচ্ছি, অস্ত্র দিচ্ছি তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতো উদ্যোগের পরেও আবার কোনো উপায়ে যখন দেশে মাদক প্রবেশ করে তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা প্রতিহত করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। মাদকাসক্তদের সমাজে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা কয়েকটা হাসপাতাল করেছি। সবগুলো বিশেষায়িত হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশসহ সকল বাহিনী কাজ করছে।’