চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কৃত্রিম টার্ফ নিমার্ণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম একাডেমি হলে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মরহুম আছদ আলীর ওয়ারিশগণের পক্ষে এ অভিযোগ করেন মোহাম্মদ ইলিয়াস জামাল।
প্রায় ১০.৬৪ একর মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টা, হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে উল্লেক করে তিনি বলেন, ১৯০৮ সাল থেকে আরএস রেকর্ড ও ক্রয়সূত্রে তারা বাকলিয়া থানাধীন নোমান কলেজ সংলগ্ন উক্ত জমির বৈধ মালিক ও দখলদার। কিন্তু বি.এস. জরিপে ভুল রেকর্ড হওয়ায় তারা ২০১৯ সালে আদালতে মামলা করেন, যা এখনো বিচারাধীন। হাইকোর্ট থেকে একাধিকবার স্থিতি অবস্থা বহালের আদেশ পাওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু কুচক্রী মহল জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ২০২৫ সালের মার্চে জমিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বাস টার্মিনাল নির্মাণের ব্যানার টানানো হয়। এরপর জেলা প্রশাসক ও চসিক মেয়রকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়।
বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় উক্ত জমির ওপর খেলার টার্ফ নির্মাণের অপচেষ্টা চালিয়েছে এতে উপস্থিত ভুক্তভোগিরা বাধা দিলে গত ২৯ এপ্রিল বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুসা ও রাফির নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। ওয়ারিশগণ বাধা দিলে তাদের উপর লাঠি ও লোহার রড দ্বারা সশস্ত্র হামলা চালানো হয় এবং প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়। এ অবস্থায় জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শমসের আলী,আইয়ুব আলীসহ প্রমূখ