নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকার সার্কিট হাউসসংলগ্ন শিশুপার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৬ দিনব্যাপী এই মেলা, যা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে ৬ দিনব্যাপী এ বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগের নবাগত বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, আমাদের যে সকল কৃষ্টি, কালচার, সংস্কৃতি রয়েছে এগুলোর বহির্প্রকাশ মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়ে থাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, যেখানে বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য আমাদের একটা প্রত্যয় রয়েছে। আমরা এই বাংলাদেশকে বৈষম্যমুক্ত করে ছাড়ব। সকলের মতামতের ভিত্তিতে আমরা এমন একটি স্থান বা ভেন্যু খুঁজে বের করব, যেখানে স্থায়ীভাবে বিজয় মেলাসহ বিভিন্ন মেলা উদযাপন করা যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম কৃষ্টি-কালচারের জেলা। এখানে প্রতিবছর বইমেলা, বাণিজ্যমেলা, বিজয়মেলা ও অন্যান্য মেলা হয়ে থাকে। মেলার স্থায়ী ভেন্যু নির্বাচন করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব আহমেদ নেওয়াজ প্রমুখ।
এ মেলায় প্রতিদিনের আয়োজনে থাকছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজয়ের কথা মালা। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ ইত্যাদি।