জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রায়হান (২০) আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামি রায়হান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২২ সেপ্টম্বর ভোরে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকা থেকে ফুফুর বাড়ি থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
জানা যায়, পিটুনিতে নিহত শামীম আহমেদ সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে কয়েক দফায় মারধরে তিনি মারা যান। নিহত শামীম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।