সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর ২০৬ জন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এ নিয়ে দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার যুদ্ধবন্দি বিনিময় করলো দেশ দুইটি। রুশ ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মুক্তি পাওয়া ১০৩ জন ইউক্রেনীয়দের সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্য, যাদের মধ্যে ৮২ জন সেনা এবং ২১ জন অফিসার রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আর বন্দি বিনিময়ের আওতায় মুক্তি পাওয়া ১০৩ রুশ সেনাকে সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে আগস্টে আকস্মিক হামলার সময়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী বন্দি করেছিল বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের সেনারা বাড়িতে ফিরেছেন। রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে আমরা ইউক্রেনে সফলভাবে আরও ১০৩ যোদ্ধাকে ফিরিয়ে এনেছি।’ জেলেনস্কি কিছু ছবিও পোস্ট করেছিলেন, যেগুলোতে সেনাদের নীল ও হলুদ রংয়ের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো থাকতে, একে অপরকে আলিঙ্গন করতে, মোবাইল ফোনে কথা বলতে এবং অজ্ঞাত স্থানে গ্রুপ ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে দেখা যায়।
আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম বলেছে, এই বন্দি বিনিময়টি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় হয়েছিল। তাদের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ ধরনের অষ্টম বন্দি বিনিময় হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার পর থেকে ঘন ঘন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে কিয়েভ ও মস্কো। আগস্টের শুরুতে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আন্তঃসীমান্ত হামলা শুরু করার পর থেকে শনিবার তৃতীয়বারের মতো বন্দি বিনিময় করে তারা।
এর আগে, কুরস্কে হামলার পর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, রাশিয়ায় অনুপ্রবেশের সময় তারা অন্তত ৬০০ রুশ সেনাকে বন্দি করেছে, যা বন্দি ইউক্রেনীয়দের ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
মুক্তিপ্রাপ্ত এসব ইউক্রেনীয়দের অধিকাংশই আক্রমণের প্রথম দিন থেকেই রাশিয়ায় বন্দিদশায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের অভিযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা দিমিত্রো লুবিনেটস। কিয়েভ এ পর্যন্ত ৫৭টি বন্দি বিনিময়ে মোট তিন হাজার ৬৭২ জন ইউক্রেনীয়কে দেশে ফিরিয়ে এনেছে বলে জানান তিনি