ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার সব সময় তাদের পাশে আছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং দানশীল ব্যক্তিরা পাশে দাঁড়িয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই। গোটা জাতিই তাদের পাশে আছে।’
বুধবার (২০ আগস্টের) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আর্থিক সহায়তা প্রদানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ড. আ ফ ম খালিদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের সাহায্যে প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে একটি ফাউন্ডেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করছে সরকার। এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসাসহ পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
‘জুলাই বিপ্লবে আহতদের সার্বিক চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করছে। এ বিপ্লবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনে সব ব্যয় সরকার বহন করবে। এমনকি যদি দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয়, সেই ব্যবস্থাও সরকার করবে।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদেরও আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছি এবং তাদের চিকিৎসা ব্যয়ও সরকার বহন করবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সহ-সমন্বয়ক তানভীর আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের উদ্যোগে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত ২০ জনকে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এ ট্রাস্ট থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে পাঁচ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এ ফাউন্ডেশন পরবর্তী সময়ে আরও পাঁচ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলে জানা গেছে।