রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত একটি ভুল পদক্ষেপ ছিলো উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, নয়তো ঝুঁকি থেকেই যাবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রশ্নবিদ্ধ, তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, নয়তো ঝুঁকি থেকেই যাবে। প্রশাসনে সংস্কারের আগে রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাই।
এই সরকার সারা বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্ররা পরিস্কারভাবে বলেছিলো, ছাত্র জনতার রূপরেখা দেয়া সরকার ছাড়া কোনো সরকারকে তারা মানবে না। কাজেই প্রশাসনে বিভিন্ন পরিবর্তনের আগে রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, সবাই দলমত নির্বিশেষে আপনাদের প্রতি যে সমর্থন দেখিয়েছে, আপনাদের কাছে সংস্কারের যে দাবি তুলেছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সংবিধান দিয়ে হবে না। এই সংবিধান বাতিল করে আপনাদের নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী অতীতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেকে বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ ছিলো, তাই দ্রুত গুছিয়ে নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য রূপরেখা দিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, ছাত্রলীগ যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে পরিপত্র জারি করলে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল, আন্দোলনে শহীদের রাষ্ট্রীয় বীর ঘোষণা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।