লেবানন ও গাজা উপত্যকায় শনিবার প্রাণঘাতী ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলে সফরে যাচ্ছেন। কূটনীতিকরা বলছেন, এই চুক্তি একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত এড়াতে পারে।
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন সিরীয় নারী, তার দুই শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ চলছে। এ হামলাটি চলমান সংঘাতের সবচেয়ে মারাত্মক ছিল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মতে, তারা হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে আঘাত করেছে।
অন্যদিকে হামাসশাসিত গাজায় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, আল-জাওয়াইদায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি ফিলিস্তিনি পরিবারের ১৫ জন নিহত হয়েছে।
এতে যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৭৪ জনে। এ ছাড়া যুদ্ধের ফলে গাজার অধিকাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আবাসনসহ সেখানকার অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২৫ বছরের মধ্যে গাজায় প্রথম পোলিও আক্রান্তের কথা জানানোর পর শুক্রবার জাতিসংঘ যুদ্ধে সাত দিনের বিরতির আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা শিশুদের টিকা দিতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আছি আমরা।’ যদিও কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনার সময় আগের আশাবাদ এখন পর্যন্ত নিরর্থক প্রমাণিত হয়েছে।
পরে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি শনিবার বলেন, বাইডেনের মন্তব্য একটি ‘বিভ্রম’।
জুলাইয়ের শেষের দিকে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা ফুয়াদ শোকর এবং হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তেজনা বেড়েছে। তাদের মৃত্যুর ফলে হিজবুল্লাহ, ইরান এবং তেহরান সমর্থিত অন্যান্য গোষ্ঠী ইসরায়েলকে দোষারোপ করে প্রতিশোধের শপথ করেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন শনিবার ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ‘যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে চাইবেন’। মিসরীয়, কাতারি ও মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির বিশদ চূড়ান্ত করতে কাজ করছে।সূত্র : এএফপি