26.5 C
Chittagong
বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদআইন আদালতসোশ্যাল মিডিয়া যেন বিপদের কারবার: প্রধান বিচারপতি

সোশ্যাল মিডিয়া যেন বিপদের কারবার: প্রধান বিচারপতি

সুসংবাদ ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এই মাধ্যমকে তিনি ‘বিপদের কারবার’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিএনপিপন্থী ছয়জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বেলন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) এখন এক বিপদের কারবার! স্বামী-স্ত্রীর বিষয়গুলোও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে! এ নিয়ে কিছু বললেই আবার রাইট টু ফ্রিডম (স্বাধীনতার অধিকার) নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’

গত বছর ১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বলে মন্তব্য করেন আপিল বিভাগের এক বিচারপতি। ওই অনুষ্ঠানেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ, হস্তক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি। এর পর থেকে এ দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে নানা কর্মসূচিও পালন করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

গত বছর ২৭ আগস্ট বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলন থেকে দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়।

এরপর ২৮ আগস্ট বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা।

গত ৩০ আগস্ট আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।কিন্তু সেদিন আবেদনটির শুনানি না নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত সব পক্ষকে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশসহ কর্মসূচি সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ মানার নির্দেশ দেন। ২০০৫ সালের ২৩ মে বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশে আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, মানববন্ধন ও ধর্মঘট না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবী হলেন কায়সার কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফাহিমা নাসরিন, মো. আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, মো. রুহুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও গাজী কামরুল ইসলাম। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছর ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি সাত আইনজীবীকে সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্ধারিত তারিখে তারা আদালতে হাজির হন। সে ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন ফের বিষয়টি আদালতে ওঠে। এর মধ্যে গত ২ মে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা যান। অন্য ছয়জন ১২ জুন আদালতে হাজির হন। ওই দিন আদালত ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে ছয় আইনজীবীকে লিখিত বক্তব্য দিতে বলেন। সেদিন তাঁদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর নাম বাদ দিয়ে শুনানির জন্য রাখেন। সে ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি শুনানিতে ওঠে।

আদালতে ছয় আইনজীবীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। পরে আদালত আগামী ২২ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। ওইদিন ছয় আইনজীবীকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।