সরকারের বেঁধে দেয়া ১২ টাকার ডিম, সাড়ে ১২ থেকে ১৩ টাকায় কেনা গেলেও, ৩৬ টাকার আলু ৪৫ থেকে ৫০ আর ৬৫ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গোড়া থেকে দাম না কমালে, আগায় অভিযান করেও কোনো লাভ নেই। তবে, ভোক্তারা বলছেন, অভিযান জোরদার করেই হোক কিংবা আমদানি করে তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসুক পণ্যের দাম।
যারা অতিরিক্ত দামের কারণে মাছ-মাংস যারা ছুঁতে পারেন না, আমিষের চাহিদা মেটাতে ডিমই তাদের ভরসা। হঠাৎ করে ডিমের দামও বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিতায় ছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তবে, এবার সরকারের বেধে দেয়া দাম এবং আমদানি ঘোষণার পর মোটামুটি ১২ টাকার আশপাশে ডিম কেনা যাচ্ছে বলে কিছুটা স্বস্তি মিলছে তাদের।
ডিমের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কোন উপায়েই লাগাম টানা যাচ্ছে না, আলু-পেঁয়াজের দামে। পাইকারিতে এখনও আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৩৬ টাকা কেজি। খুঁচরা বাজারে কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, তাদের এখনো ৪০ টাকা দরে আলু কিনতে হয়। স্বল্প লাভেই তারা ক্রেতা পর্যায়ে আলু সরবরাহ করেন।
দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম ৬৫ টাকা বেধে দিলেও তা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা কেজিতে।
পাইকারি বিক্রেতারাও বলছেন, সরকারি দাম কৃষক-ব্যপারী-মজুদদার ও হিমাগার মালিকরাই মানেনি। ফলে কমে না পেলে কম দামে কীভাবে বেচবেন তারা।
ক্রেতারা বলছেন, পণ্যের লাগামছাড়া দামে এখন নাভিশ্বাস অবস্থা তাদের। দাবি, যে কোন উপায়ে কমে আসুক পণ্যের দাম।
রাজধানীর সাদেক খান কৃষি মার্কেটে অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান বলেন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি, মূল্যটা যাতে দেশের সব জায়গায় বাস্তবায়ন করা যায়।
রাজধানীর পাশাপাশি দেশের ৩০ জেলায় ভোক্তা অধিদপ্তরে ৩৮টি টিম কাজ করছে বলেও জানান মাগফুর রহমান।
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। সরকারের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিটি ফার্মের ডিম ১২ টাকা, আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা (হিমাগার পর্যায়ে ২৬-২৭) এবং দেশি পেঁয়াজের দাম হবে ৬৪-৬৫ টাকা।