ব্যাটিং পারছেন না, বোলিং করাচ্ছেন না ক্যাপ্টেন, তবে সৌম্য সরকার দলে কী করছেন? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্য সরকার ফিল্ডিং বাদে আর কোনো অবদান রাখতে পারেননি। এই সিরিজ যদিও পরীক্ষা-নীরিক্ষার ল্যাব হয় তবে সৌম্য কি একজন পরীক্ষার্থীরই জায়গা নষ্ট করলেন?
বছর দুয়েক পরে ফিরলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, খেলে ফেললেন পঞ্চাশ ওভার দৈর্ঘ্যের গোটা একটা ম্যাচ। কিন্তু ওই ম্যাচ টাইমে সৌম্য সরকারের নতুন কোনো ছবি পাওয়াই দুস্কর। কারণ মাঠে সেভাবে খুঁজেই পায়নি ক্যামেরার লেন্স। অথচ সৌম্য নিয়ে কতো পরিকল্পনা টিম ম্যানেজমেন্টের।
ঘরোয়া ক্রিকেটের দলেই যার নাম কাটা পড়ে একাদশ থেকে, সেই ক্রিকেটার চলে এলেন প্রধান কোচ হাথরুাসিংহের বিশ্বকাপের ভাবনায়। উপমহাদেশের কন্ডিশনে সৌম্যের হার্ড হিটিং ক্যালিবার কাজে লাগাতে চেয়েছে। যদিও সেই ব্যাটিং ডিসপ্লে যেন বহু যুগ আগের রূপকথার গল্প, এখন তার ছিটেফোঁটাও নেই।
তাছাড়া সৌম্যকে দিয়ে ফিনিশারের ঘাটতিও পূরণ করার পথ খোঁজা হয়েছে। সাত নম্বর ব্যাটার নামের ধাধার উত্তর যদি মেলাতে পারেন সৌম্য। সেই সঙ্গে মিডিয়াম পেস বোলিং অপশন তো আছেই।
কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজে সৌম্যকে নিয়ে হলোটা কি? প্রথম ম্যাচ তো বৃষ্টিতে ভাসলো। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন না। প্রায় ৩৪ ওভারের দীর্ঘ ইনিংসে নিয়মিত বোলারদের ভিড়ে দুই ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। পরের ম্যাচে ব্যাট হাতে শূন্যতে ফেরেন। আর সেই ম্যাচে সৌম্যকে বলই করাননি ক্যাপ্টেন লিটন দাস।
দ্বিতীয় ম্যাচে বলার মতো বলতে ফিল্ডিংয়ে কিছু রান সেভ আর মোস্তাফিজের বলে ফিন অ্যালেনের ক্যাচ। এর বাইরে আর কোনো কন্ট্রিবিউশন নেই। তাহলে প্রশ্ন হলো, কেন সৌম্যকে দলে ক্যারি করা, একাদশে সুযোগ দেয়া?
কোন পারফমেন্সের ভিত্তিতে তাকে দলে টানা হলো সে তো পুরনো প্রশ্ন। পরীক্ষা নীরিক্ষা হতেই পারে বড় টুর্নামেন্টের আগে। কিন্তু হাথুরুসিংহে কি এই ভাবে একটা ন্যাশনাল টিমকে এভাবে গিনিপিগ বানাতে পারেন? আবার এই গবেষণাগারে হাজির ছিলেন না খোদ গবেষক হাথুরুও।