28.2 C
Chittagong
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারাদেশব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ফুটবলার মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন বাবা জিতু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ফুটবলার মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন বাবা জিতু

সুসংবাদ ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক পরিবারের তিন মেয়েই ফুটবলার, ঘরে শতাধিক পদক। উপজেলার রূপসদী গ্রামের জিতু মিয়া। জিতু মিয়া পেশায় অটোরিকশাচালক আর মা নূর নাহার আক্তার গৃহবধূ। এক ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে তিন মেয়েই ফুটবলার।

একখণ্ড বসতবাড়ি ছাড়া তার আর কোনো জায়গা-জমি নেই। মাথা গোঁজার জন্য নিজের কোনো ঘর ছিল না। ফুটবলকন্যাদের বদৌলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি টিনশেট পাকাঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি।

বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দুই কক্ষের মধ্যে একটি কক্ষে শোভা পাচ্ছে ফুটবল কন্যাদের অর্জন বিভিন্ন টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত শতাধিক মেডেল ও ট্রফি।

এক মেয়ে আরিফা আক্তার সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে খেলেছে।

অন্য দুই মেয়ে সুমাইয়া ও আরজু মনি এবছর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল দলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে খেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ট্রফি ও মেডেল গ্রহণ করে। তিন বোনই স্থানীয় ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম ফুটবল ক্লাবের অপরিহার্য খেলোয়াড়।

অটোরিকশাচালক বাবা জিতু মিয়া বলেন, আমি একজন সামান্য অটোরিকশাচালক।

আমার তিন মেয়ে ফুটবল খেলে দেশে-বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। তারা যাতে ভবিষ্যতেও ফুটবল খেলে আমার রূপসদী গ্রাম ও বাঞ্ছারামপুরের সুনাম বয়ে আনতে পারে সেজন্য সবার সহযোগিতা চাই।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হায়দার আলী বলেন, আমাদের রূপসদী গ্রামের জিতু মিয়ার মেয়েরা খুব ভালো ফুটবল খেলে শুনেছি। জিতু মিয়া গরিব অটোরিকশাচালক। তারা যাতে কোনো অর্থ কষ্টে না থাকে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সংসদ সদস্য ড. ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলামের কাছে আবেদন করছি।

স্থানীয় ফুটবলার ও সংগঠকরা মনে করেন নারী ফুটবলের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টর আয়োজন করা ও তাদের আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা জরুরি। নতুবা আরিফা, সুমাইয়া ও আরজু মনির মতো অসংখ্য নারী ফুটবলাররা একসময় হারিয়ে যাবে।