চট্টগ্রামে শোলকবহর এলাকায় কুড়িয়ে পাওয়া প্রায় লাখ টাকা দামের ওয়ান প্লাস টেন (স্মার্ট ফোন) ফেরত দিয়ে সততার নজির গড়েছে মো. মিটু নামের এক অটোরিক্সা চালক। কিশোরগঞ্জ জেলার নিখলী থানার বাসিন্দা মিটু দীর্ঘদিন ধরে নগরীর হালিশহরে বসবাস করছে। কুড়িয়ে পাওয়া মোবাইলটি প্রকৃত মালিক রেজাউল করিমকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘটনার সময় উপস্থিত পথচারীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই চালক।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত দশটার সময় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম গেইটের সামনে প্রকৃত মালিককে মোবাইলটি ফেরত দেন তিনি।
জানাযায়, রাতে রেজাউল করিম ব্যবসায়িক কাজে নগরীর কাজিড় দেউড়ি থেকে মোটসাইকেল যোগে বহদ্দার হাট ফেরার পথে শোলকবহর এলাকায় পাঞ্জাবীর পকেট থেকে মোবাইলটি রাস্তায় পড়ে যায়। সিএনজি অটোরিক্সা (চট্ট মেট্রো-থ ১২-৯৭০৪) করে বহদ্দার হাট থেকে যাত্রী নিয়ে জিইসি ফেরার পথে রাস্তায় পড়ে থাকা মোবাইলটি কুড়িয়ে নেন অটোরিক্সা চালক মো. মিটু। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী মোবাইলটি খুঁজে না পাওয়ায় ওই মোবাইলে ফোন করেন। অপর প্রান্তে রিসিভি করে চালক মিটু, ওই সময় প্রকৃত মালিক হলে ফোনটি নিয়ে যেতে অনুরোধ করে। পরে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম গেইটের সামনে এসে মোবাইলের মালিক রেজাউল করিমকে মোবাইলটি ফেরত দেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা ৫/৭ জন পথচারী অটোরিক্সা চালক মিটুর সততা নিয়ে প্রশংসা করেন। রিদুয়ানুল হক বলেন, এই সময়ে এত দামী স্মার্ট ফোন ফেরত দেওয়া বড়ই সততার উদাহরণ। এভাবে সততা বেঁচে থাকুক যুগের পর যুগ।
মোবাইল মালিক রেজাউল করিম নিউজ পোর্টাল সুসংবাদকে বলেন, রাস্তায় মোবাইলটা কখন যে পড়ে যায় বুঝতে পারিনি। পাগলের মতো খোঁজ করছিলাম। পরে ফোন করে জানতে পারি যে এক সিএনজি ড্রাইভার ফোনটি পেয়েছে। ওর সততায় আমি মুগ্ধ।
তিনি আরও বলেন, সে চাইলে মোবাইলটা বন্ধ করে দিতে পারত। কিন্তু করেনি। আমার মোবাইলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিল, তাছাড়া কনস্ট্রাকশন কাজের আয়-ব্যয় মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে করছি অর্থাৎ এই মোবাইলে করছি। পরিবার নিয়ে নাস্তা খাওয়ার জন্য সামান্য টাকা দিয়েছি, যদিও ঊনি নিতে চায়নি। পরে তাকে আমার বাসায় দাওয়াত দিয়েছি। সততার পুরস্কার টাকা দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।
চালক মিটু বলেন, গাড়ি নিয়ে আসার পথে মোবাইলটি চাকার নিচে পড়ার সময় হঠাৎ ব্রেক দিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে হেফাজতে রাখি। পরে মোবাইলের মালিক ফোন করলে নিয়ে যেতে বলি। মালিক আসলে ফোনটি ঊনার হাতে তুলে দিয়ে মানবিক দায়িত্ব পালন করছি।