বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। গত ৩৩ বছরের মধ্যে এটাই কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রথম ঢাকা সফর।
রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে দ্বিপক্ষীয় সফরে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দরে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিনবাহিনীর একটি চৌকষ দল ইমানুয়েণ ম্যাক্রোঁকে গার্ড অব অনার দেয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লাইন অব প্রেজেন্টেশনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন, কূটনীতিক, পদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পৃথিবীর অন্যতম বড় অর্থনীতি ও প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্স জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য। এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তখনকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু, নারীর ক্ষমতায়ন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
রোববার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এছাড়া দুই সরকারপ্রধান একান্তেও বৈঠক করবেন। এছাড়া ম্যাক্রোঁ ও শেখ হাসিনা সমঝোতা স্মারক সই এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
বাংলাদেশ সফরে থাকা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে ফ্রান্স সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্যারিস সফরে শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্মতিপত্রে সই করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ক’দিন আগে বলেছিলেন, ফ্রান্সের সাহায্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠাতে চাই বাংলাদেশ। তাদের সঙ্গে আরও দুটো চুক্তি করার পরিকল্পনা আছে।
ফ্রান্স বাংলাদেশের কাছে কিছু এয়ারবাস বিক্রি করতে চায়। আর বাংলাদেশও কিনতে চায় বলে সেদিন জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যে দুটো কারগো বিমান। বাকিগুলো বোয়িং ও এয়ারবাস থেকে।